
কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত যুব কর্মসংস্থান মেলা ২০২৫ এ ১১২ জন প্রার্থীকে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে মেলায় ৯৫০ জনের বেশি স্থানীয় যুবক-যুবতী, নিয়োগকর্তা, উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করার সুযোগ পেয়েছেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে স্থানীয় একটি কনভেনশন হলে সেভ দ্য চিলড্রেন ও বিটা আয়োজিত এ কর্মসংস্থান মেলায় মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। আর ১১২জন প্রার্থীকে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করা হয়। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গনে স্থাপিত ৮টি সিভি ড্রপ বক্স তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। মেলায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকা বিষয়ক তথ্য আদান প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন উপস্থিত তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘তোমরা কাজকে ভালোবাসো, এবং সবসময় কর্মস্থলের পরবর্তী ধাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখো। নিজের দক্ষতা বাড়ালে, তুমি একজন দক্ষ মানুষ হয়ে উঠবে, তখন তোমাকে চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না, চাকরি তোমাকে খুজে নেবে।’
সেভ দ্য চিলড্রেনের কক্সবাজার এরিয়া অফিস ডিরেক্টর মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘চাকরি জীবনে প্রবেশ একটি বড় অর্জন, তবে এটিই শেষ নয়। আমি আপনাদের সবাইকে উৎসাহিত করছি যেন চাকরির পাশাপাশি শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন চালিয়ে যান। পড়াশোনা করুন, নতুন কিছু শিখতে থাকুন। আমাদের এই স্কিলস টু সাকসিড প্রোগ্রাম শুধু চাকরির জন্য নয়, বরং তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবেও গড়ে তুলছে।’
মেলাটি হয়ে ওঠে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্ভাবনী ব্যবসা প্রদর্শনের প্ল্যাটফর্ম। তরুণ উদ্যোক্তারা খাদ্য, পোশাক ও ফ্যাশন, হেনা আর্ট, বিউটিকেয়ার, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ও লজিস্টিকসসহ নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন। বিশেষ আকর্ষণ ছিল ইউথ ইনোভেশন ল্যাবের অংশগ্রহণকারীদের সুপারি গাছের খোল থেকে তৈরি পরিবেশবান্ধব পণ্য। প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ এই মেলাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে।
স্কিলস টু সাকসিড প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, এ উদ্যোগ তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, চাকরির যোগ্যতা উন্নত করেছে এবং উদ্যোক্তা হতে উৎসাহ দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, গ্র্যাজুয়েটদের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও মেইল চ্যাম্পিয়ন এওয়ার্ড এবং সিএসআর (কর্পোরেট সোস্যাল রেস্পন্সিবিলিটি) এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে এবং কক্সবাজারে ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার প্রকল্প পরিচালনা করছে।
পাঠকের মতামত